Study in Sweden

University Admissions in Sweden

যারা সুইডেন (সুইজারল্যান্ড না ) এ ঝাড়ু দিতে অথবা ম্যাক এ কাজ করতে আসতে চাও / চান :

সুইডেন এ এসেছি ২০০৯ সালে, অনেকটা বউ এর গুতা গুতি তে (অন্য কোথাও চেষ্টা করার মতন CGPA ছিল না  ) . সুইডেন এ আসতে GRE দেয়া লাগে নাই, খালি TOEFL / IELTS হইলে যথেস্ট। অনেক সময় মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন ইংলিশ এই সার্টিফিকেট দেখালেই হয়।

যাই হোক , আসল পেচাল পারি। সুইডেন হলো সবচেয়ে বড় সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দেশ (ব্যখ্যা দিতে পারুম না) . আর স্কান্দিনাভিয়ার IT ক্যাপিটাল। কারো এক ভিসা তে অনেক গুলা দেশ ঘুরার ইচ্ছা থাকলে, সেই ইচ্ছা ও পূরণ হবে। যদি কারো প্রোগ্রামিং অভিজ্ঞতা থাকে, চোখ বন্ধ করে চলে আসা উচিত। বাংলাদেশ এ এখন কয়েকটা সুইডিশ কোম্পানি আছে আমার জানামতে , যেখানে কর্মরত লোকজন নিয়মিত Stockholm আসে। সুইডেন এ আসার সবচেয়ে সহজ উপায় স্টুডেন্ট হিসেবে। সুইডেন ইউনিভার্সিটি গুলো তে Apply করার লিংক http://bit.ly/1eg96Ap

সুইডেন এর সরকারী চাকুরীর ওয়েবসাইট , মোটামুটি ৯৫% চাকুরীর খবর পাওয়া যাবে এখানে : https://www.arbetsformedlingen.se/For-arbetssokande/Hitta-jobb/Platsbanken/ . ওয়েবসাইট টা সুইডিশ এ, কষ্ট করে গুগল translator ব্যবহার করতে হবে।

এখন আসি সুবিধা তে :

১. Sweden is a heaven for IT people (period).

২. স্টুডেন্ট অবস্থায় কাজ এর কোনো লিমিট নাই (USA তে শুনছিলাম ২০ ঘন্টা প্রতি সপ্তাহে) .

৩. ২০০৭-২০১২ পর্যন্ত ভালো পরিমান স্টুডেন্ট এসেছে বাংলাদেশ থেকে।

৪. ওয়ার্ক ভিসা তে ৪ বছর থাকলে PR পাওয়া যাবে। সম্প্রতি যারা পিএইচডি করছে তাদের জন্য ও একই নিয়ম করা হইছে।

৫. PR এর এক বছর পর পাসপোর্ট এর Apply করা যাবে। আমাদের এক বড় ভাইয়া already এই নতুন নিয়ম এর হিসাবে পাসপোর্ট পেয়েছেন।

ওক, এখন আসি অসুবিধা তে :
১. এখন পড়ার জন্য টাকা দেয়া লাগে। যদিও ভালো পরিমান স্কলারশিপ পাওয়া যায়। আমার Supervisor এর সাথে কথা বলে জেনেছিলাম, তাদের কাছে বাংলাদেশের সব ইউনিভার্সিটির লেভেল একই। সো ভালো CGPA নিয়ে apply করলে তার স্কলারশিপ পাওয়ার chance বেশি।

২. সব চেয়ে বড় সমস্যা বাসা পাওয়া , টাকা থাকলেই পাওয়া যাবে তার কোনো গেরান্টি নাই। তবে নিজের বাড়ি কিনে ফেললে আলাদা কথা 

৩. শুরু তে নিজের মন মতন কাজ নাও পাওয়া যেতে পারে। এখানে যে কাজ ই হউক, ঘন্টা প্রতি টাকা প্রায় সবার সমান। ক্ষেত্র বিশেষে রাত এ কাজ করলে অথবা ছুটির দিনে কাজ করলে টাকা আরো বেশি।

৪. ভাষার সমস্যা। এমনিতে কম বেশি সবাই ইংলিশ বলে, এবং খুব ভালই ইংলিশ বলে। কিন্তু IT লাইন ছাড়া, অন্য পেশা তে সুইডিশ জানতেই হবে , ব্যতিক্রম থাকতে পারে।

৫. আমি আর বলতে চাই না, বেশি বইলা ভয় দেখাইতে চাই না।

কোনো ইনফরমেশন জানার থাকলে , ধাক্কা দিয়েন থুক্কু Knock কইরেন বাহে।

দেখে নিন সুইডেন এর একটি শহর Jönköping এর সৌন্দর্য :

Your Comment